আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের জোট সরকার থেকে বিজেপি বেরিয়ে যাওয়ায় স্তফা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। এর মাধ্যমে প্রায় সাড়ে তিন বছরের জোট সরকারের পতন হয়েছে। এখন আগাম নির্বাচন অথবা কেন্দ্রের শাসন জারি করতে হবে সেখানে। মেহবুবার দল পিপল্স ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি) এত দিন বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে বিরোধপূর্ণ এ রাজ্য পরিচালনা করছিলেন।

মঙ্গলবার দুপুরে নয়াদিল্লিতে এক সাংবাদ সম্মেলনে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যসরকার থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্তের কথা জানান বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব। তিনি বলেন, ‘জম্মু-কাশ্মীরে পিডিপির সঙ্গে পথচলা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সরকার থেকে সরে আসা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।’

এর পরেই রাজভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি রাজ্যপালের হাতে ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে আসেন। বিজেপি যদিও রাজ্যে রাজ্যপালের শাসনই চায়, বৈঠকে এমনটা জানিয়েছিলেন রাম মাধব।

জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় মোট ৮৭টি আসন। ২০১৪-র মে মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পিডিপি পেয়েছিল ২৮টি আসন। আর বিজেপি পেয়েছিল ২৫টি। এ ছাড়া সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার দল ন্যাশনাল কনফারেন্স ১৫টি, কংগ্রেস ১২টি এবং অন্যান্যরা ৭টি আসন পেয়েছিল। এ অবস্থায় পিডিপি ও বিজেপি যৌথভাবে সেখানে সরকার গঠন করে। মুখ্যমন্ত্রী হন মেহবুবা মুফতি।

সংবাদ সম্মেলনে রাম মাধব বলেন, ‘সন্ত্রাস, হিংসা এবং কট্টরবাদ উপত্যকায় সাধারণ নাগরিকদের মৌলিক অধিকারকে বিপন্ন করে তুলেছে। শুজাত বুখারির খুন তার উদাহরণ।’

তিনি বলেন, ‘জম্মু-কাশ্মীরের মন্ত্রিসভা থেকে বিজেপির সব সদস্য আজই (মঙ্গলবার) পদত্যাগ করবেন। জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সে কারণেই আমরা সরকার থেকে সরে এসে রাজ্যের ভার রাজ্যপালের হাতে তুলে দিতে চেয়েছি।’সূত্র : পিটিআই